Hegel’s theory of state

         

Hegel's theory of state

    

Hegel’s theory of state    

 Georg Wilhelm Friedrich Hegel (1770-1831).

  হেগেলের রাষ্ট্রতত্ত্ব

ভূমিকা :

জার্মান দার্শনিক হেগেল মূলত একজন ভাববাদী রাষ্ট্র দার্শনিক। হেগেলের রাষ্ট্র দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু হল রাস্ট্র। তিনি দ্বন্দ্ববাদের সাহায্যে রাষ্ট্রের মহত্ব কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার এই ভাববাদী রাষ্ট্রতত্ত্ব সু সংঘবদ্ধভাবে গ্রন্থিত হয়েছে তার philosophy of rights নামক গ্রন্থে। তিনি মনে করতেন রাষ্ট্র হল মর্তের বুকে ঈশ্বরের পদচারণা। হেগেলের এই রাষ্ট্রতত্ত্ব নিম্নে সবিস্তারে আলোচিত হল:–

Hegel's theory of state

হেগেলের রাষ্ট্রতত্ত্বের মূল বক্তব্য :

  1. রাষ্ট্রের উদ্ভবে দ্বান্দ্বিকতার প্রয়োগ : হেগেলের মতে রাষ্ট্র হল সুদীর্ঘ ক্রমবিবর্তনের ফল এবং তা এক দ্বান্দ্বিকতার পর্যায়ে বিকশিত হয়। এই প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়ে পরিবার বা বাদ তারপর প্রতিবাদ হিসেবে পুরো সমাজ এবং বাঁধ ও প্রতিবাদ অর্থাৎ পরিবার ও সমাজের সমন্বয়ে সম্বাদ রূপে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। রাষ্ট্র হল সব ব্যক্তির মহা মিলন ক্ষেত্র যেখানে পরিবার ও পুরসমাজের সমস্ত বৈশিষ্ট্য বর্তমান।
  2. ব্যক্তির ইচ্ছার সাথে রাষ্ট্রের ইচ্ছার সমন্বয় : হেগেলের দৃষ্টিতে ব্যক্তির ইচ্ছা রাষ্ট্রের কাছে সমর্পিত হলে ব্যক্তির সর্বোচ্চ আত্মিক ও নৈতিক কল্যাণ সাধিত হয়। রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেই ব্যক্তি যথার্থ স্বাধীন হয়ে ওঠে। রাষ্ট্র নিজে কোনো লক্ষ্য পূরণের মাধ্যম নয়। সে নিজেই নিজের পরম লক্ষ্য। তাই রাষ্ট্রের মধ্যে ব্যক্তি তার জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায়।
  3. রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নৈতিকতা : হেগেলের মতে রাষ্ট্র হল সামাজিক নৈতিকতার সর্বোৎকৃষ্ট বহিঃপ্রকাশ এবং রাষ্ট্রের সদস্যদের নৈতিক মান ঠিক করে দেয়। রাষ্ট্র সামাজিক ন্যায় এর বাস্তব প্রতিফলন সেহেতু ব্যক্তির একমাত্র কর্তব্য হল রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা। এই কর্তব্য পালনের মধ্য দিয়েই ব্যক্তি তার নৈতিকতা, স্বাধীনতা ও ভাব সত্তার পূর্ণ বিকাশ সাধন করতে পারে।
  4. রাষ্ট্র ও ব্যক্তি :: হেগেলের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রীয় কর্তিত্ব হলো চরম ও চূড়ান্ত। মানুষ রাষ্ট্রের মধ্যেই তার ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ সাধন করতে সক্ষম। রাষ্ট্র যেহেতু ব্যক্তির অধিকার ও স্বাধীনতা দেয় সেহেতু ব্যক্তি কোন মতেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণ করতে পারবে না। এক কথায় তিনি ব্যক্তিসত্তা কে রাষ্ট্রের কাছে আত্মসমর্পন করার কথা বলেন।
  5. রাষ্ট্রের জৈব তত্ত্ব : হেগেল রাষ্ট্রকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ব্যক্তি যা কিছু উৎকর্ষতা সেটি রাষ্ট্রের জন্যই কারণ রাস্ট্র নিজেই নিজের লক্ষ্য। জীব দেহের কোন অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করলে খন্ডিত অংশ এর কার্যকারিতা যেমন থাকে না তেমনি একটি রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ব্যক্তি তার গুরুত্ব ও তাৎপর্য হারিয়ে ফেলে।
  6. যুদ্ধ তত্ত্ব : রাষ্ট্র হল সার্বভৌম ,স্বতন্ত্র, স্বাধীন এবং নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে কোন উপায় অবলম্বন করতে পারে। প্রয়োজনে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার অধিকারী। হেগেল মনে করতেন যে অবিরাম শান্তি রাষ্ট্রগুলিকে বিপথে পরিচালিত করে তাই রাষ্ট্রকে স্বাবলম্বী ও শক্তিশালী করতে যুদ্ধের প্রয়োজন। তার মতে যুদ্ধ জাতীয় ঐক্য কে সুদৃঢ় করে।
সমালোচনা :  
  1. এই মতবাদটিকে CEM Joad বিভ্রান্তিকর ,বিপদজনক ও একটি ভ্রান্ত মতবাদ বলে মনে করেন।
  2. হেগেলের ব্যক্তির অধিকার কে স্বীকার না করে তিনি ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের যুপকাষ্ঠে বলিপ্রদান করেছেন।
  3. রাষ্ট্রের ধারণাই দেবত্ব আরোপ করে তিনি রাষ্ট্রকে নৈতিক সমালোচনার ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন।
  4. রাষ্ট্রের অধিবিদ্যাগত ( metaphysical) তত্ত্ব ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদ সৃষ্টিতে সাহায্য করেছিল।
  5. রাষ্ট্র ছাড়া ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর যে পৃথক স্বাধীন সত্ত্বা রয়েছে তা উপলব্ধি করতে তিনি ব্যর্থ হন।
  6. যুদ্ধ কে সমর্থন করে তিনি অতি -জাতীয়তাবাদ কেই সমর্থন করেছেন।
উপসংহার :
  • Hegel’s theory of state নানাভাবে সমালোচিত হলেও তার গুরুত্ব অপরিসীম। সমকালীন জার্মানির পক্ষে একটি চরম কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া প্লেটো, অ্যারিস্টোটল, ম্যাকিয়াভেলির ভাববাদ হেগেলের দ্বারা পূর্ণতা পায়। তাছাড়া গ্রীন,ব্রাডলে, বোসংকেত, হেগেলের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। সর্বোপরি কাল মার্কস তার দ্বন্দ্বতত্ত্ব হেগেল থেকেই গ্রহণ করেছিলেন।
Main works
  1. Philosophy of right (1821).
  2. Philosophy of history (1837).
  3. The encyclopaedia of the philosophy of sciences.(1817).
  4. Science of logic (1812 & 1816).
  5. Philosophy of law (1820).

                                          ……………………………………….

Leave a Comment