Gandhi: Truth Non-Violence and Satyagraha

gandhi


Gandhi: Truth Non-Violence and Satyagraha

ভূমিকা : ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে Gandhi একটি উল্লেখযোগ্য নাম। তিনি প্রকৃত অর্থে কোন রাষ্ট্র দার্শনিক ছিলেন না। তবে তিনি নিজের জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু আদর্শ ও নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়েছেন Truth, Non-Violence and Satyagraha যেগুলি পরবর্তীকালে গান্ধীবাদ নামে পরিচিত হয়েছে। গান্ধীজী তার রাজনৈতিক আদর্শ গীতা, বাইবেল, ও আমেরিকান লেখক থোরো ও টলস্টয় প্রভৃতি দার্শনিক এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গড়ে তুলেছিলেন। তার রাজনৈতিক আদর্শ সত্য (Truth), অহিংসা (non violence) ও আত্মনিগ্রহ (self suffering) এই তিনটি নীতির দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

সত্য (Truth) : গান্ধীজীর রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের মৌলিক উপাদান টি ছিল সত্য। তিনি সত্যকে একটি আপেক্ষিক ধারণা হিসেবে গ্রহণ করে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চেয়েছেন। তবে গান্ধীজী চরম সত্য বলতে ঈশ্বরকে বুঝিয়েছেন। পরবর্তীকালে সত্যকেই তিনি ঈশ্বর বলে ঘোষণা করেন।

অহিংসা (non violence) গান্ধীজী শুধুমাত্র অহিংসাকে একটি রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে নয় তার জীবন ধারণের মৌলিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন একমাত্র অহিংসার দাঁড়ায় হিংসাকে জয় করা যায়। অহিংসাই হলো সত্য এবং সত্যই হলো ঈশ্বর। তাই ঈশ্বরকে লাভ করতে হলে অহিংসা কেই গ্রহণ করতে হবে। তবে তিনি অহিংসা বলতে কখনোই এবং কোনভাবেই হিংসাকে স্বীকার করতে রাজি হননি। শুধুমাত্র এই কারণেই তিনি সামান্য চৌরিচৌরার ঘটনায় অহিংস অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেছিলেন।

gandhi : truth non violence and satyagraha

সত্যাগ্রহের কৌশল : গান্ধীজী সত্যাগ্রহের কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন সত্যাগ্রহের সবসময় দুঃখ বরণ করতে প্রস্তুত থাকবে এছাড়াও চরম ত্যাগ স্বীকার করতে হবে । মৃত্যুবরণ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হবে না। তবে তিনি সত্যাগ্রহের কৌশল হিসেবে অসহযোগ, আইন অমান্য, অনশন , পিকেটিং প্রভৃতিকে গ্রহণ করার পক্ষপাতী ছিলেন।

উপসংহার : গান্ধীজীর সত্যাগ্রহের ধারণা কে সমালোচনা করা হলেও এই ধারণার গুরুত্বকে কখনো অস্বীকার করা যায় না। কারণ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজী এই সত্যাগ্রহের ধারণা কে বারবার প্রয়োগ করেছিলেন এবং সফল হয়েছিলেন। তাই রেজাউল করিম মন্তব্য করেছেন গান্ধীজীর সত্যাগ্রহের আদর্শ হলো একটি পরিপূর্ণ জীবন দর্শন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সংজ্ঞা ? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জতিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর ।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সংজ্ঞা দাও ? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জতিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর

 Ansআন্তর্জাতিক সম্পর্কের সংজ্ঞা :-

একটি পৃথক শাস্ত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও তার সুনির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সংজ্ঞা প্রদান করা সম্ভব হয়নি। তবে বিভিন্ন সংজ্ঞা কে সঙ্ঘবদ্ধ করে বলা যায় যে — আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হল এমন একটি বিষয় যা বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, অ- রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, ক্ষমতা, রাজনৈতিক মতাদর্শ, যুদ্ধ ও শান্তি, নিরস্ত্রীকরণ, আন্তর্জাতিক সংগঠন, স্বার্থ গোষ্ঠী, জনমত, প্রচার, কূটনীতি, বিশ্ব বাণিজ্য, সন্ত্রাসবাদ, বিশ্ব-পরিবেশ প্রভৃতির মত প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।


আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য —

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সংজ্ঞা দাও ?

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক :-  

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বলতে বোঝায় বিভিন্ন রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্কের বহুমুখী দিক। যথা- ব্যবসায়িক, সংস্কৃতিক, সামাজিক ও সাহায্যকারী দিক ।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি :-

রবার্ট পার্নেল আন্তর্জাতিক রাজনীতি বলতে মতাদর্শগত পার্থক্য, প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জোট রাজনীতি ও জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 পার্থক্য :-   

বাস্তববাদী চিন্তাবিদ হ্যান্স যে মর্গেনথাউ Politics Among Nations গ্রন্থে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতিকে পরিপূরক হিসেবে গণ্য করলেও পামার ও পারকিন্স, হলসটি, স্লেচার প্রমূখগণ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করেছেন —-

পরিধিগত পার্থক্য —

আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিধি সংকীর্ণ অক্ষর থেকে সম্পর্কের পরিধি ব্যাপক বা বিস্তৃত। আন্তর্জাতিক রাজনীতি কেবল রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। অপরদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পারস্পরিক রাষ্ট্রের মধ্যে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। তাই  হলস্টি বলেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পররাষ্ট্রনীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক পর্যটন আন্তর্জাতিক নীতিবোধ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে অপরদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বিষয়বস্তু গত পার্থক্য  :–

বাস্তববাদী তাত্ত্বিক মর্গেনথাউ আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে ক্ষমতার লড়াই বলে চিহ্নিত করেছেন কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শুধুমাত্র ক্ষমতা লড়াই নয় এখানে সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতা, শত্রুতা ও মিত্রতা, সংঘর্ষ ও সমন্বয় সমস্ত কিছুই বর্তমান।

মূল্যায়ন :

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় আন্তর্জাতিক রাজনীতি হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি চ্যাপ্টার মাত্র। আন্তর্জাতিক রাজনীতি উদ্দেশ্য হলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হল লক্ষ্য ।

………………………………………………………………………………………………………………………….

Post Cold War MCQ Questions | HS Political Science Chapter 1

 আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিবর্তন

Post Cold War  MCQ Questions

  1. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কত সালে শুরু হয় ?Ans- 1914 সালে।
  2. প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কোন পক্ষ জয় লাভ করে ? Ans – মিত্র শক্তি।
  3. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কোন সালে শুরু হয় ? Ans -1939 সালে।
  4. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পক্ষ থেকে কে কে ছিল ? Ans – অক্ষশক্তি ও মিত্রশক্তি।
  5. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির চ্যান্সেলর কে ছিলেন ? Ans – হিটলার।
  6. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন ? Ans – রুশভেল্ট।
  7. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কে ছিল ? Ans- উইনস্টন চার্চিল।
  8. প্রথম কত সালে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগ হয় ? Ans – 6 August 1945 সালে।
  9. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তিতে কোন আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে ওঠে ? Ans – সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ (UNO)
  10. NATO কত সালে গঠিত হয় ?Ans — 4 April 1949
  11. NATO এর পুরো নাম কি ? Ans– The North Atlantic Treaty organization (নর্থ-আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন)
  12. SEATO এর পুরো নাম কি ? Ans– South East Asian Treaty Organization
  13. Politics Among Nations কে রচনা করেন ? Ans হানস যে মর্গেন্থাও
  14. History of Peloponnesian war কে রচনা করেন ? Ans – Thucydides
  15. ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি কত সালে স্বাক্ষরিত হয় ? Ans -1648 খ্রিস্টাব্দে ।
  16. অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি কে রচনা করেন ? Ans – কৌটিল্য বা চাণক্য।
  17. The Prince কে রচনা করেন ? Ans- নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি।
  18. Principles of International Law নামক গ্রন্থটি কে রচনা করেন ? Ans – বেন্থাম
  19. The Great Illusion গ্রন্থটি কে রচনা করেন ? Ans- নরম্যান এঞ্জেল।
  20. কোন সম্মেলনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্বীকৃতি পায় ? Ans প্যারিস সম্মেলন (1948)।
  21. ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ টুডে (E- Bulletin) কত সাল থেকে প্রকাশিত হচ্ছে ? Ans -1975 সাল থেকে ।
  22. একজন আচরণবাদী চিন্তাবিদদের নাম লেখ ? Ans- ডেভিড ইস্টন ।
  23. একজন বাস্তববাদী চিন্তাবিদদের নাম লেখ ? Ans – হানস যে মর্গেন্থাও ।
  24. আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একজন বহুত্ববাদী চিন্তাবিদের নাম লেখ ? Ans – জোসেফ নাই ।
  25. আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একজন কাঠামোবাদী চিন্তাবিদের নাম লেখ ? Ans- সামির আমিন ।
  26. একজন বাস্তববাদী চিন্তাবিদের নাম লেখ ? Ans- নরম্যান এঞ্জেল ।
  27. আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একজন নয়া বাস্তববাদী চিন্তা বেদের নাম লেখ ? Ans কেনেথ ওয়ালজ।
  28. আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একজন নয়া উদারনীতিবাদী চিন্তাবিদের নাম লেখ ? Ans জেমস রোজেনাউ।
  29. ক্ষমতা বা শক্তি র সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা কে দিয়েছেন ? Ans জোসেফ ফ্র্যাঙ্কেল।
  30. Twenty Years Crisis কে রচনা করেন ? Ans- E.H. Car.
  31. এক ফোটা তেল আমাদের সৈন্যদের এক ফোঁটা রক্তের থেকেও দামি- কে বলেছেন ? Ans – Georges Clemenceau ।
  32. কূটনীতি কে The Brain of National Power বলে কে অভিহিত করেছেন ? Ans মর্গেনথাউ ।
  33. কোন চুক্তির ফলে বিশ্বায়নের সূচনা হয় Ans – ম্যাস্ট্রিক চুক্তি (1991 সাল) ।
  34. বিশ্বায়নের ধারণার জনক কে ? Ans রোলান্ড রবার্টসন (Ronald Robertson) ।
  35. বিশ্বায়নের প্রধান স্লোগান কি ? Ans- বিশ্ব বাজার প্রতিষ্ঠা ।
  36. কোন ক্ষেত্রে বিশ্বায়ন সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে ? Ans অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ।
  37. কে Global Village বা বিশ্বগ্রাম ব্যবস্থার ধারণা দেন ? Ans মার্শাল ম্যাকলুহান ।
  38. MNC এর পুরো নাম কি ? Ans – Multi -National Corporation (মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশন) ।
  39. FDI এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans – Foreign Direct Investment (ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট)।
  40. বিশ্বায়নকে সমগ্র বিশ্বে পরিচালনা করছে কোন দুই সংস্থা ? Ans – WTO ও IMF
  41. WTO এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans – World Trade organization (ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন)।
  42. IMF এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans -International Monetary fund (ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড)।
  43. LPG এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans – Liberalization, Privatization, Globalization. 
  44. GATT কত সালে স্বাক্ষরিত হয় ? Ans- ১৯৪৭ সালে।
  45. GATT এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans – General Agreement on Tariff and Trade.
  46. GATT কত সালে WTO তে পরিণত হয় ? Ans -1994 সালে 15 এপ্রিল ।
  47. ওয়ার্ল্ড ব্যাংক World Bank কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ? Ans – 1945 সালে ।
  48. World Bank এর সম্পূর্ণ নাম কি ? Ans- International Bank for Reconstruction and Development (ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট)
  49. The Iron lady নামে কে পরিচিত ? Ans- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার।
  50. Tina এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans -There is No Alternative (দেয়ার ইস নো অল্টারনেটিভ )

Cold War MCQ Questions | HA Political Science Chapter 2



 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

One liner             

  1. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল উল্লেখ কর ? Ans — 1939 থেকে 1945 সাল পর্যন্ত।
  2. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তি নামে পরিচিত ছিল কোন দেশ ? Ans – ব্রিটেন, ফ্রান্স, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
  3. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অক্ষশক্তি নামে কে পরিচিত ছিল ? Ans- জার্মানি, ইতালি, স্পেন ও জাপান।
  4. ঠান্ডা লড়াই কোন দুই দেশের মধ্যে চলেছিল ? Ans- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ।
  5. কে সর্বপ্রথম ঠান্ডা লড়াই কথাটি ব্যবহার করেন ? Ans- ওয়াটার লিপম্যান।
  6. ওয়াটার লিপম্যান সর্বপ্রথম কোন গ্রন্থে ঠান্ডা লড়াই কথাটি ব্যবহার করেন ? Ans- দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
  7. কোন সালে রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লব সম্পূর্ণ হয় ? Ans – 1917 সালে।
  8. মার্শাল পরিকল্পনা কত সালে কার্যকর হয় ? Ans – 1948 সালের 3rd এপ্রিল।
  9. ট্রুম্যান নীতি (Truman Doctrine) কত সালে ঘোষিত হয় ? Ans- 1947 সালের 12ই মার্চ।
  10. কোন তারিখে বার্লিন অবরোধ শুরু হয় ? Ans- 24 শে জুন 1948 সালে।
  11. মাউ -জে -দং এর নেতৃত্বে কোন সালে চীনে কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতা দখল করে ? Ans -1949 সালে।
  12. Witness to History গ্রন্থের লেখক কে ? Ans- চার্লস বোলেন ।
  13. “শান্তির জন্য সম্মিলিত হওয়ার প্রস্তাব”কোন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটায় ? Ans- 1950 সালের কোরিয়া যুদ্ধ।
  14. স্ট্যালিন এর মৃত্যুর পর সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রপতি কে হন ? Ans — নিকিতা ক্রুশ্চেভ।
  15. কে ভিয়েতনামে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ক করেন ? Ans- হো চি মিন ।
  16. দাঁতাত কি? Ans – ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কালে পারস্পরিক দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার প্রশমন।
  17. PTBT এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans – Partial Nuclear Test Band Treaty (1963)
  18. NPT এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans- Nuclear Non-Proliferation Treaty.(1968)
  19. CTBT এর সম্পূর্ণ রূপ  কি ? Ans- COMPREHENSHIVE NUCLEAR TEST BAN TREATY (1996)
  20. SALT এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans- Strategic Arms Limitation Treaty.(1972)
  21. গ্লাসনোস্ত ও পেরেস্ত্রইকা তত্ত্বের জনক কে ? Ans মেখাইল গর্ভাচেভ (Gorbachev)
  22. বান্দুং সম্মেলন কোন সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ? Ans -18ই এপ্রিল 1955.
  23. জোট -নিরপেক্ষ আন্দোলনের জনক কাকে বলা হয় ? Ans-জহরলাল নেহেরু কে ।
  24. জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রথম সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয় ? Ans -যুগাস্লেভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে (1961)
  25. জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সম্মেলন ভারতে কবে অনুষ্ঠিত হয় ? Ans -7 ই মার্চ 1983 সালের নতুন দিল্লিতে।
  26. 2023 সালে কোথায় 19তম জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ? Ans- উগান্ডাতে।

UNITED NATIONS /UNO MCQ QUESTION AND ANSWER | HS POLITICAL SCIENCE CHAPTER 4

 সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ

UNITED NATIONS

  1. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোন পক্ষ জাতিপুঞ্জ গঠনের কাজ শুরু করে ? Ans মিত্রশক্তি
  2. জাতিপুঞ্জ ও গঠনের প্রধান উদ্যোক্তা কে কে ছিলেন ? Ans – স্ট্যালিন, রুশভেল্ট, চার্চিল।
  3. আটলান্টিক সনদ কবে স্বাক্ষরিত হয় ? Ans- 14 ই আগস্ট 1941 সালে।
  4. আটলান্টিক আটলান্টিক সনদে মোট কয়টি মৌলিক নীতি গৃহীত হয়েছিল ? Ans- 8 টি (আট টি)
  5. কোন জাহাজে আটলান্টিক সনদ স্বাক্ষরিত হয় ? Ans– প্রিন্স অফ ওয়েলস ( Prince of Wales)
  6. জাতিপুঞ্জ গঠনের দ্বিতীয় বলিষ্ঠ পদক্ষেপ কোনটি ? Ans- ওয়াশিংটন ঘোষণা 
  7. কোন সালে ওয়াশিংটন ঘোষণা স্বাক্ষরিত হয় ? Ans- 1লা জুন 1942 সালে।
  8. কোন সম্মেলনে জাতিপুঞ্জের নামকরণ করা হয় ? Ans- ওয়াশিংটন ঘোষণা
  9. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নামটি কে দিয়েছিলেন ? Ans- রুশভেল্ট
  10. মস্কো ঘোষণা কবে স্বাক্ষরিত হয় ? Ans- 30 শে অক্টোবর 1943 সালে ।
  11. তেহেরান ঘোষনা কবে স্বাক্ষরিত হয় ? Ans– 1লা ডিসেম্বর 1943 সালে।
  12. ব্রেটেন উডস সম্মেলন কত সালে স্বাক্ষরিত হয় ? Ans – 1944 সালের জুলাই মাসে।
  13. ডাম্বারটন ওকস সম্মেলন কত সালে অনুষ্ঠিত হয় ? Ans – 7 ই oct 1944 সালে।
  14. 11সদস্য বিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদ, সাধারণ সভা, আন্তর্জাতিক আদালত ও সচিবালয় গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কোন সম্মেলনে ? Ans -ডাম্বারটন ওকস সম্মেলনে।
  15. ইয়াল্টা সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয় ? Ans – 4th ফেব্রুয়ারি 1945 সাল
  16. জাতিপুঞ্জ গঠনের শেষ সম্মেলন কোনটি ? Ans- সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন
  17. কত সালে জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয় ? Ans- 24 শে অক্টোবর 1945 সালে।
  18. বর্তমানে জাতিপুঞ্জের সদস্য সংখ্যা কত ? Ans- 193 টি দেশ।
  19. জাতিপুঞ্জের সনদে কয়টি ধারা আছে ? Ans- 111টি।
  20. জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তর কোথায় ? Ans– নিউইয়র্ক, আমেরিকা।
  21. সাধারণ সভায় একটি দেশ কতজন সদস্য প্রেরণ করতে পারে ? Ans – পাঁচজনের বেশি নয়।
  22. সাধারণ সভায় কজন সভাপতি ও সহ-সভাপতি নিযুক্ত হয় ? Ans- 1জন সভাপতি ও 21 জন সহ সভাপতি।
  23. সমগ্র বিশ্বের শান্তি রক্ষার দায়িত্ব কোন দপ্তরের হাতে রয়েছে ? Ans- নিরাপত্তা পরিষদ ।
  24. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ভেটো প্রয়োগ করতে পারে কোন কোন সদস্য ? Ans – নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যগণ।
  25. নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের নাম লেখ ? Ans – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন।
  26. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য সংখ্যা কত ? Ans– 10 জন।
  27. নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা কত ? Ans-15 জন।
  28. ভারত কতবার নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ?Ans-8 বার।
  29. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত ? Ans– ৫৪ জন
  30. বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কবে পালন করা ? Ans- 10 ই December।
  31. UNESCO কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? Ans– 1945 সালের 16 ই নভেম্বর।
  32. UNESCO এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans- United Nations Educational Scientific and Cultural Organisation.
  33. UNESCO এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? Ans– প্যারিস, ফ্রান্স।
  34. UNESCO এর সদস্য সংখ্যা কত? Ans – 195টি দেশ।
  35. UNESCO এর কাজ কি ? Ans– বিশ্বব্যাপী শিক্ষা বিজ্ঞান সংস্কৃতির বিস্তার।
  36. UNICEF কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? Ans- 1946 সালের 11 ডিসেম্বর।
  37. UNICEF এর পুরো নাম কি ? Ans – United Nations International Children’s Emergency Fund.
  38. ILO এর সম্পূর্ণ নাম কি ? Ans– International Labour Organisation.
  39. ILO এর সদস্য সংখ্যা কত? Ans- 187 টি দেশ।
  40. ILO এর সদর দপ্তর কোথায়? Ans– জেনেভা, সুইজারলান্ড।
  41. WHO এর পুরো নাম কি? Ans – World Health Organisation.
  42. WHO এর কাজ কি ? Ans – সমগ্র বিশ্ববাসীর স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করা।
  43. WHO এর সদর দপ্তর কোথায়? Ans– জেনেভা, সুইজারলান্ড।
  44. বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কোন দিন পালন করা হয়? Ans– 7ই এপ্রিল।
  45. FAO এর সম্পূর্ণ নাম কি? Ans – Food and Agricultural Organization.
  46. IMF এর সম্পূর্ণ নাম কি ? Ans– International Monitary Fund.
  47. World Bank এর সম্পূর্ণ নাম কি? International Bank for Reconstruction and Development.
  48. জাতিপুঞ্জের কোন সংস্থা সবচেয়ে বেশি সাফল্য লাভ করেছে ? Ans– অছি পরিষদ
  49. অছি পরিষদের বর্তমানে কয়টি সদস্য রয়েছে ? Ans – একটি সদস্যও নেই 
  50. আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারপতির সংখ্যা কত ? Ans– 15 জন
  51. আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারপতিদের কার্যকাল মেয়াদ কত ? Ans -9 বছর
  52. আন্তর্জাতিক আদালত কোথায় অবস্থিত ? Ans– নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে।
  53. আন্তর্জাতিক আদালতের সংবিধান কে কি বলা হয় ? Ans – সংবিধি।
  54. জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিব এর নাম কি ? Ans– ট্রিগভি লী ।
  55. জাতিপুঞ্জের বর্তমান মহাসচিবের নাম কি ? Ans – অ্যান্টেনিও গুতারেস।

Foreign Policy Questions and answer/ HS POLITICAL SCIENCE CHAPTER 3


 পররাষ্ট্র নীতি 

one liner

  1. জাতীয় নীতি কে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? Ans-দুই ভাগে অভ্যন্তরীন নীতি ও পররাষ্ট্রনীতি।
  2. দ্বি-মেরু কেন্দ্রিক বিশ্ব রাজনীতির দুটি ভাগ কি কি ? Ans- সমাজতান্ত্রিক জোট ও উদারনৈতিক জোট ।
  3. ঠান্ডা লড়াই কোন দুই দেশের মধ্যে চলেছিল ? Ans-সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
  4. একমেরু কেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা বলতে কি বোঝায় ? Ans-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব রাজনীতিতে একাধিপত্য।
  5. The End of History and the Last Man/ইতিহাসের পরিসমাপ্তি –গ্রন্থটি কে রচনা করেন ? Ans -ফ্র্যান্সিস ফুকুয়ামা।
  6. ভারতের পররাষ্ট্র নীতির মূল বৈশিষ্ট্য কি ? Ans-জোট নিরপেক্ষতা।
  7. পঞ্চশীল নীতির পঞ্চশীল শব্দটি কোথা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে ? Ans-ইন্দোনেশিয়ার পঞ্চত শিলার নাম অনুসারে।
  8. জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের জনক কে ? Ans- জহরলাল নেহেরু।
  9. CTBT এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans- Comprehensive Nuclear – Test Ban Treaty.
  10. SAARC এর সম্পূর্ণরূপ কি ? Ans- South Asian Association for Regional Cooperation.(সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন)
  11. কত সালে SAARC (সার্ক) প্রতিষ্ঠিত হয় ? Ans- 1985 সালের 8ই ডিসেম্বর।
  12. সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত ? Ans – আটটি (8)।
  13. সার্কের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ? Ans- কাঠমান্ডু, নেপাল।
  14. সার্ক প্রতিষ্ঠার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ? Ans- রাজীব গান্ধী
  15. সার্কের জনক কে ? Ans- বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ।
  16. SAPTA এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans- South Asian Free Trade Area.
  17. ASEAN এর সম্পূর্ণ রূপ কি ? Ans- Association of South East Asian Nations (অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস)।
  18. No First Use Policy কি ? Ans- ভারত তার পারমাণবিক অস্ত্র কোন অবস্থাতেই প্রথমে ব্যবহার করবে না।
  19. ভারত প্রথম কোথায় পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটায়? Ans- রাজস্থানের পোখরান এ ( 1998 সালে)
  20. 123 Agreement কি ? Ans- ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অসামরিক ক্ষেত্রে পারমাণবিক আদান-প্রদান চুক্তি।
  21. 123 Agreement কত সালে স্বাক্ষরিত হয় ? Ans- 2007 সালে।
  22. G-20 গ্রুপ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?Ans- 26 September 1999 সালে।
  23. ভারত কবে Australia Group এ যোগদান করে ? Ans – 19 January, 2018 সালে।
  24. Australia group এর সদস্য সংখ্যা কত ? Ans- 43 জন।
  25. BRICS এর সদস্য গুলির নাম লেখ ? Ans ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত,  চীন, দক্ষিণ-আফ্রিকা
  26. ব্রিকস এর সদর দপ্তর কোথায় ? Ans – সাংঘাই, চীন।
  27. ব্রিকস কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ? Ans – 2006 সালে।
  28. BIMSTEC এর পুরো নাম কি ? Ans- Bay of Bengal Initiative for Multi -Sectoral Technical and Economic Cooperation.
  29. BIMSTEC এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ? Ans- ঢাকা, বাংলাদেশ।
  30. NSG এর সম্পূর্ণ নাম কি ? ANS- Nuclear Supplier Group.
  31. NSG এর সদস্য সংখ্যা কত ? Ans -48 জন।
  32. NSG এর সদর দপ্তর কোথায় ? ANS – Massachusetts, USA

Poitical Science Suggestion 2024

 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Suggestion 2024

 (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক)

  1. ****আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সংজ্ঞা দাও ? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর।****

  2. ****আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সংজ্ঞা দাও? আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশের ধারা গুলি আলোচনা ।****

  3. ****বিশ্বায়ন বলতে কি বোঝো । বিশ্বায়নের প্রকৃতি ও ফলাফল আলোচনা কর ।****

                                                          (কয়েকটি প্রধান রাজনৈতিক মতাদর্শ)

  1. ****গান্ধীজীর সত্যাগ্রহের ধারণাটি আলোচনা কর ।****

  2. ****কার্ল মার্কসের ঐতিহাসিক বস্তুবাদী তত্ত্বটি আলোচনা কর ****

  3. মার্কসবাদ এর মূল সূত্র গুলি আলোচনা করো।

  4. মার্কসের রাষ্ট্র তত্ত্ব আলোচনা কর।

                                                          (সরকারের বিভিন্ন বিভাগ)

  1. ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিগুলি আলোচনা কর।

  2.  দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও।

  3. আধুনিক রাষ্ট্রে  শাসন বিভাগের কার্যাবলী আলোচনা।

                                            (ভারতের শাসন বিভাগ)

  1. ****প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাও কার্যাবলী আলোচনা কর।****

  2. ****রাজ্যপালের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা****

                                                        (ভারতের আইন বিভাগ)

  1. ****লোকসভা ও রাজ্যসভার পারস্পরিক সম্পর্ক আলোচনা কর ।****

  2. ****ভারতীয় পার্লামেন্টের আইন পাশের পদ্ধতি আলোচনা কর।****  

  3. ****স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর।****  

                                          (ভারতের বিচার বিভাগ)

  1. ****ভারতের হাইকোর্টের গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা কর****

  2. ****বিচার বিভাগীয় সমীক্ষা বলতে কি বোঝায়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কিভাবে সংরক্ষিত হয় তা আলোচনা কর।****

  3. ভারতের লোক আদালতের গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা কর।

  4. ক্রেতা সুরক্ষ আদালত সম্পর্কে একটি টীকা লেখ।

MANDALA THEORY কৌটিল্যের মন্ডল নীতি

mandala theory
কৌটিল্যের  মন্ডল নীতি

  KAUTILYA’S MANDALA THEORY কৌটিল্যের মন্ডল নীতি

Table of Contents

ভূমিকা :–

প্রাচীন ভারতীয় রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাস কৌটিল্য (350-275 BCE)এক উল্লেখযোগ্য নাম। রাজা চন্দ্রগুপ্তের মহামন্ত্রী ও রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ছিলেন কৌটিল্য, যিনি বিষ্ণুগুপ্ত বা চাণক্য নামে পরিচিত । তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল অর্থশাস্ত্র। অনেকে কৌটিল্য কে ইউরোপের ম্যাকিয়াভেলির সাথে তুলনা করে থাকেন। রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে তার যে সমস্ত উল্লেখযোগ্য নীতিগুলি ছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো মন্ডল তত্ত্ব, সপ্তাঙ্গ নীতি ও দণ্ডনীতি। তবে তার সব চিন্তা ভাবনার কেন্দ্রীয় বিষয় ছিল রাজতন্ত্রের শক্তি কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় এবং রাষ্ট্রকে সুবিন্যস্তভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়। আধুনিক বিচারে কৌটিল্য প্রকৃতপক্ষে বাস্তববাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ প্রয়োগিক রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ছিলেন যিনি ধর্মীয় সংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে রাজতন্ত্রকে ব্যাখ্যা করেছেন।

মন্ডল তত্ত্ব :—

 বৈদেশিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌটিল্যের মন্ডল নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ। কৌটিল্য এই তথ্য অনুসারে কোন রাজা তার প্রতিবেশী রাজ্য গুলির সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে কোন নীতি কে মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করবে এবং বন্ধু ও শত্রু চিহ্নিত করবে তারই একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করে এই মন্ডল তত্ত্ব। তবে কৌটিল্যের মন্ডল নীতি ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে বৈরিতা,মিত্রতা এবং নিরপেক্ষ সম্পর্কযুক্ত কতগুলি রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্ককে কৌটিল্য ব্যাখ্যা করেছেন ।কৌটিল্যের মন্ডল নীতি কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করেন বিজিগিশু রাজা এবং এই রাজা সম্মুখে এবং পশ্চাদ্ভাগে শত্রু ও মিত্র রাজ্য বা রাজা অবস্থান করে । এই শত্রু-মিত্র রাজ্যের রাজা গুলিকে কৌটিল্য বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তা নিম্নে আলোচনা করা হল……………

বিজিগীশু রাজা :

কৌটিল্যের মন্ডল কৌটিল্যের মন্ডল নীতি দ্বাদশ রাজ মন্ডল এর কেন্দ্রীয় স্থানে রয়েছেন রাজা। তিনি হলেন সকল ক্ষমতার উৎস এবং যিনি অপরের ওপর আধিপত্য স্থাপন করতে ইচ্ছুক। কৌটিল্য এই রাজাকে বিজিগেশু নামে অভিহিত করেন।

অরি : বিজিগীশু রাজার সীমানা সংলগ্ন অন্য রাজা হলেন বিজিগীশু রাজার স্বাভাবিক শত্রু বা অরি।

মিত্র : অরি রাজ্যের সীমানা বা পরিধি সংলগ্ন যে রাজার অবস্থান তিনি হলেন বিজিগীশু রাজার মিত্র ।

অরিমিত্র : মিত্র রাজার সীমান্তবর্তী রাজা যিনি মিত্র রাজার স্বাভাবিক শত্রু এবং অরির স্বাভাবিক মিত্র তিনি হলেন অরিমিত্র।

মিত্র মিত্র : অরিমিত্র রাজ্যের সীমান্তবর্তী রাজা ও মিত্র রাজ্যের স্বাভাবিক বন্ধু অর্থাৎ মিত্র মিত্র।

অরিমিত্র মিত্র: মিত্র মিত্র রাজার সীমান্তবর্তী রাজা ও আরিমিত্রের স্বাভাবিক বন্ধু ও এবং বিজিগীশু রাজার শত্রু হলো অরিমিত্র মিত্র।

বিজিগীশু রাজার পশ্চাদ্ভাগে আরো চারজন রাজার অবস্থান । যথা 

পঞ্চিগ্রাহ : যে রাজার রাজ্য বিজিগীশু রাজার রাজ্যের পশ্চাদ্ভাগে অবস্থিত সেই রাজাকে পঞ্চিগ্রাহ বলা হয়। তিনি অরির হিতার্থে বিজিগীশু রাজার সঙ্গে শত্রুর সম্পর্ক স্থাপন করেন।

আক্রন্দ : পঞ্চিগ্রাহএর ঠিক পশ্চাদ্বর্তী রাজা যিনি পঞ্চিগ্রাহর স্বাভাবিক শত্রু এবং বিজিগীশু রাজার মিত্র। তিনি হলেন আক্রান্দ।

পঞ্চিগ্রাহসার: আক্রন্দর ঠিক পশ্চাদ্বর্তী রাজা হলেন পঞ্চিগ্রাহসার। যিনি পঞ্চিগ্রাহএর বন্ধু এবং বিজিগীশু রাজার শত্রু।

আক্রন্দসার : পঞ্চিগ্রাহসার রাজার পশ্চাদবর্তি রাজা যে আক্রান্দের সাহায্যের জন্য পঞ্চিগ্রাহসার এর সঙ্গে শত্রুতা করেন, তিনি হলেন আক্রানদের মিত্র আক্রানদসার । এক কথায় বিজিগীশু রাজার সাথে তার মিত্র সম্পর্ক।

 মধ্যম : যে রাজা বিজিগীশু ও অরি উভয় রাজ্যের সন্নিকটে অবস্থিত এবং উভয়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই। তাছাড়া এক রাজ্যে দ্বারা আক্রান্ত হলে একা একা প্রতিহত করতে অসমর্থ হন। তিনি মধ্যমে অবস্থান করেন।

উদাসীন : যে রাজা বিজিগীশু, অরি ও মধ্যম রাজা থেকে দূরে অবস্থান করেন এবং তিনি শক্তিশালী এবং একাই যেকোনো আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম, সে রাজা উদাসীন নামে আখ্যায়িত হন। নিচে একটি ছকের সাহায্যে কৌটিল্যের মন্ডল তত্ত্ব টি আলোচনা করা হলো। 

কৌটিল্যের মন্ডলতত্ত্ব

মন্ডল তত্ত্বের গুরুত্ব : বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌটিল্যের মন্ডল নীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক। বর্তমান সময়ে যদি আমরা বিজিগীশু রাজা হিসেবে ভারতের অবস্থান লক্ষ্য করি তাহলে সম্মুখ ও পশ্চাৎ ভাগে আমরা বিভিন্ন দেশের অবস্থান মন্ডল তত্ত্ব হিসাবের সাজাতে পারি। যেমন ভারতের প্রধান শত্রু ও অরি হলো পাকিস্তান। এবং মিত্র হলো আফগানিস্থান। অরিমিত্র হলো সিরিয়া বা ইরাক। মিত্র মিত্র হলো ইরান। এবং অরি মিত্র মিত্র হলো তুর্কি। পশ্চাদ্ভাগে পঞ্চিগ্রাহ হলো ভারতের শত্রু ও অরি বন্ধু হল চীন। এবং আক্রন্দ হিসাবে তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম ভারতের বন্ধু। পঞ্চিগ্রাহসার এর ভূমিকা লেখ করা যেতে পারে উত্তর কোরিয়া এবং আক্রান্দসার হলো জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। মাধ্যম হিসেবে নেপাল,ভুটান ও বাংলাদেশের কথা বলা যেতে পারে। অন্যদিকে উদাসীন হিসেবে আমেরিকা ও রাশিয়ার কথা বলা যেতে পারে।

এক কথায় বলা যায় যে প্রাচীনকালে কৌটিল্যের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বর্তমানকালেও সমভাবে প্রাসঙ্গিক।

                                                        ..………………………………………………

উদারনীতিবাদের মূল নীতি বা বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো I

উদারনীতিবাদের মূল নীতি

 উদারনীতিবাদের মূল নীতি বা বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো

ভূমিকা : বর্তমান বিশ্বের সবথেকে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা হল উদারনীতিবাদ। সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে উদীয়মান বুর্জোয়া শ্রেণি যে রাজনৈতিক আদর্শকে হাতিয়ার করে সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হয় তাহা হলো উদারনীতিবাদ। জন লক, মিল, গ্রীন, বেন্থাম, লাস্কি , বারকার ইত্যাদি হলেন এই উদারনীতিবাদ এর অন্যতম সমর্থক। 

উদারনীতিবাদের মূল নীতি : 

রাজনৈতিক ও সামাজিক সাম্য :

  1. উদারনীতিবাদের মূল নীতি হলো রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা। যেমন জীবনের অধিকার, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার, ধর্মের অধিকার , নির্বাচন ও নির্বাচিত করার অধিকার ইত্যাদি ।

শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন :

  1. উদারনীতিবাদ বৈপ্লবিক উপায় রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা ও প্রচারের বিরোধী। শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক উপায়ে সংস্কারের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে আস্থাশীল।

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা :

  1. উদারনীতিবাদ রাষ্ট্রের মধ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে নাগরিকদের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ জোর দেয়। তাছাড়া নিরপেক্ষ আদালতের উপস্থিতিও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার :
  1. উদারনীতিবাদ যেহেতু জনগণের শাসন তাই রাষ্ট্রের মধ্যে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে ।
দলীয় ব্যবস্থায় আস্থা :
  1. উদারনীতিবাদ সরকার গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল গঠনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার কথা বলে। 
ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার :
  1. উদারনীতিবাদের মূল নীতি হলো নাগরিকদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার কে রক্ষা করা। তবে এই অধিকার অবাধ বা অনিয়ন্ত্রিত নয়I

  1. অন্যান্য বৈশিষ্ট্য : উপরিক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি ছাড়াও নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন, স্বার্থ গোষ্ঠীর প্রভাব বিস্তার, সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা, আমলাতন্ত্রের প্রাধান্য হলো উদারনীতিবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

উপসংহার : বর্তমানে একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে উদারনীতিবাদ ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। এবং সেইসঙ্গে রাষ্ট্রের কার্যক্ষেত্রের পরিধি সম্প্রসারিত হয়েছে। তবে এই উদারনীতিবাদ অর্থনৈতিক সাম্যে কে উপেক্ষা কড়ায় মার্কসবাদীরা এর ব্যাপক সমালোচনা করেন। তারা মনে করেন সমাজে অর্থনৈতিক সাম্য ছাড়া রাজনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। তথাপি বলা যায় উদারনীতিবাদ হলো বিশ্বের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য রাস্ট্র মতবাদ।

The Systems Theory of David Easton

The Systems Theory of David Easton

                       

The Systems Theory of David Easton

 The Systems Theory of David Easton

আধুনিক রাজনীতির পর্যালোচনায় ক্ষেত্রে ব্যবস্থা জ্ঞাপক তত্ত্বের সূত্রপাত করেন অন্যতম আচরণবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডেভিড ইস্টন। জীববিজ্ঞানী Ludwig von bertalanffy জীবদেহের ব্যবস্থার ধারণাটি কে প্রথম প্রয়োগ করেন। ব্যবস্থার এই ধারণাকে ম্যালিগনোস্কি প্রমুখ নৃতত্ত্বে, ট্যালকট পারসন্স সমাজতত্ত্বের প্রয়োগ করেন। ডেভিড ইস্টন তার Political System (1953) নামক গ্রন্থে এই তত্ত্বটি কে রাজনীতি বিশ্লেষণ এর ব্যবহার করেন।

Table of Contents

          ইস্টন যে মৌল অনুমান কে সামনে রেখে তার ব্যবস্থা জ্ঞাপক তত্ত্বটি কে শুরু করেছিলেন তা হল কিভাবে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা এমন একটি পরিবেশে তার অস্তিত্ব বজায় রাখে যেখানে স্থিতিশীলতা ও পরিবর্তনশীল উভয়ই বিদ্যমান। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এর মূল প্রশ্ন হলো রাজনৈতিক ব্যবস্থা স্থায়ী পরিবেশে এবং পরিবর্তনশীল জগতে– উভয়ের কিভাবে ক্রিয়াশীল থাকে এবং স্থায়ীত্ব লাভ করে।

         রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ক্রিয়াশীলতা কে ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ইস্টন অভিজ্ঞতাবাদী পদ্ধতিতে এমন একটি সাধারন তত্থ্য গড়ে তুলতে চেয়েছেন যার মাধ্যমে স্থানীয় /আঞ্চলিক ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক যে কোন স্তরের রাজনীতিকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। ডেভিড ইস্টনের মতে, মূল্যের কর্তৃত্ব মূলক বরাদ্দই হলো যে কোন ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থার মূল বিষয়। মানুষ এই বন্টন ব্যবস্থা কে মেনে নেয় ভীতিমূলক ,অজ্ঞান মূলক বা প্রথাগত কারণে। উল্লেখ্য যে যে কোনোভাবেই তা গ্রহণ করা হোক না কেন এটি সরাসরি সমাজের মিথস্ক্রিয়ার সাথে যুক্ত থাকে। এই মিথস্ক্রিয়া গুলিকেই রাজনীতির মূল একক হিসাবে উল্লেখ করেছেন ডেভিড ইস্টন।

         ডেভিড ইস্টন এর মতে কোন সমাজের সেইসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ব্যবস্থা যার মাধ্যমে মূল্যের কর্তৃত্ব মূলক বন্টন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত ও প্রযুক্ত হয়। রাজনৈতিক ব্যবস্থার তিনটি আবশ্যিক উপাদান রয়েছে। যথা রাজনৈতিক সমাজ, শাসন প্রণালী এবং কর্তৃত্ব।

  • রাজনৈতিক সমাজ :
    • রাজনৈতিক কার্যকলাপের শ্রমবিভাজন এর ফলশ্রুতিতে উদ্বুদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী সমূহ যারা বিভিন্ন প্রকার সমস্যা সমাধানের সময় রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সহযোগিতা করে থাকে। 
  • শাসন প্রণালী :
    • শাসন প্রণালী বলতে বোঝায় সেইসব লিখিত ও অলিখিত নিয়মাবলী, রীতিনীতি , আদর্শ ও মূল্যবোধ কে বোঝায় যার উপর রাজনৈতিক কাঠামো টি নির্ভরশীল থাকে।
  • রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ :
    • এই কর্তৃপক্ষ হলো সেই সব ব্যক্তিবর্গের সমষ্টি যারা ক্ষমতার অবস্থান থেকে মূল্য কর্তৃত্ব সম্পন্ন বন্টন এর সিদ্ধান্তসমূহ কে গ্রহণ করে এবং বাধ্যতামূলকভাবে তা প্রয়োগ করে।

উপরিউক্ত চিত্রটি কে বিশ্লেষণ করলে ডেভিড ইস্টন এর ব্যবস্থা জ্ঞাপক মডেলটির কতগুলি মৌলিক দিক আলোচনা করা যায়।

ডেভিড ইস্টন এর মতে রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি উন্মুক্ত ব্যবস্থা এবং এই ব্যবস্থা যে সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে অবস্থান করে তার সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিরন্তন মিথস্ক্রিয়া চলে। রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়াও সমাজের অন্যান্য যেসকল উপব্যবস্থা থাকে তাদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে রাজনৈতিক ব্যবস্থার সামগ্রিক পরিবেশ। ইস্টন প্রকৃতিগতভাবে এই পরিবেশকে দুইভাগে ভাগ করেছেন । যথা আন্ত সামাজিক পরিবেশবাহ্য সামাজিক পরিবেশ

The Systems Theory of David Easton
  1. আন্ত সামাজিক পরিবেশ :
    • সমাজ অভ্যন্তরস্থ আচরণ, ধ্যান-ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ, সাংস্কৃতিক , অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার মিথস্ক্রিয়ার ফলে গড়ে ওঠে বাহ্য সামাজিক পরিবেশ।
  2. বাহ্য সামাজিক পরিবেশ :
    • রাষ্ট্রীয় সমাজের বাইরে যে সমস্ত ব্যবস্থার অস্তিত্ব রয়েছে সেগুলি কে নিয়ে গড়ে ওঠে বাহ্য সামাজিক পরিবেশ। যেমন একটি রাষ্ট্রের বাহ্যিক পরিবেশ হল UNO,IMF, WTO ইত্যাদি।
  •  রাজনৈতিক ব্যবস্থা :
    • ডেভিড ইস্টন এর মতে , রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি স্বনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা। রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে এমন কতগুলি উপাদান ও প্রক্রিয়া আছে যার মাধ্যমে পরিবেশের যে কোন প্রকার চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে থাকে এবং তার পূর্ববর্তী ভারসাম্য অবস্থাকে বজায় রাখতে পারে। শুধু তাই নয় পরিবেশের যে কোন প্রকার পরিবর্তনের সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে মানিয়ে চলে এবং স্থায়িত্ব দান করে।
  • উপকরণ :
    • রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাছে সমাজ ও পরিবেশ থেকে যে সমস্ত দাবি বা চাহিদার সৃষ্টি হয় সেগুলোর সাথে সমর্থন যুক্ত হলে তাকে উপকরণ বা Input demand বলে।
  • উপপাদ :
    • যে সমস্ত উপকরণ গুলি দাবি বা চাহিদা ও সমর্থন এর সাহায্যে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় প্রবেশ করে সেগুলি থেকে ঝাড়াই-বাছাই করে মূল্যের কর্তৃত্ব মূলক বন্টন এর মাধ্যমে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রূপান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজে প্রযুক্ত হয় তা উপপাদ নামে পরিচিত।
  • তথ্য ও অভিজ্ঞতা প্রেরক :
    • ইস্টন এর মতে উপকরণ গুলি কে উপপাদে পরিণত হওয়ার পর সেগুলিকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দাবি-দাওয়া সমূহকে কতটা পূরণ করতে পারছে, গৃহীত সিদ্ধান্ত গুলি সমাজের ইতিবাচক বা নেতিবাচক কি প্রভাব ফেলছে প্রভৃতি সম্পর্কিত তথ্য ও সংবাদ গুলি পাওয়া একান্ত জরুরী।

   রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বা উপপাদ্ গুলি তথ্য ও সংবাদ প্রেরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাছে পুনরায় নতুন রূপে ফিরে আসে এবং সেগুলি পুনরায় দাবি ও সমর্থন এর সাহায্যে উপকরণের আকারে রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিকট উত্থাপিত হয়। ইস্টন এর মতে এই প্রক্রিয়ার কার্যকারিতার জন্য রাজনৈতিক কর্তৃত্ব তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণ করতে পারে। অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে বা নির্ধারিত কর্মসূচী সমূহের পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে। 

  • চাপ বা সংকট :
    • ডেভিড ইস্টন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় চাপ বা সংকট মোকাবেলা করার কথা বলেছেন। তার মতি এর চাপ বা সংকট গুলি দুই ধরনের। যথা অতিরিক্ত দাবি জনিত চাপ এবং সমর্থনের হ্রাস জনিত চাপ।
  • অতিরিক্ত দাবি জনিত চাপ :
    • অতিরিক্ত দাবি জনিত চাপ গুলি কে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে রাজনৈতিক ব্যবস্থা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি বর্গের দাবি পূরণ করতে অসমর্থ হয় তাহলে তা সংকট আকারে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাছে উত্থাপিত বিভিন্ন দাবি গুলির মধ্যে কোনটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় তা ঝাড়াই-বাছাই কাজে অস্বাভাবিক বিলম্ব হলে সেটি সংকট আকারে উদ্বুদ্ধ হয়।

সমর্থন জনিত চাপ সমর্থন জড়িত চাপ কে তিন ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে যথা

  1. রাজনৈতিক ব্যবস্থা যদি দীর্ঘকাল ধরে তার সদস্যদের একটি বড় অংশের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারে, তাহলে তারা অসন্তুষ্ট হয়ে ব্যবস্থার প্রতি আংশিক বা সম্পূর্ণ সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়ে সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
  2. রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অভ্যন্তরস্থ রাজনৈতিক প্রভাবশালী দলের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি সৃষ্টি হলে তা ব্যবস্থার প্রতি সমর্থনের ক্ষেত্রটিকে দুর্বল করে।
  3. উপকরণ গুলি কে filter of funnel এ প্রক্রিয়ায় ঝাড়াই-বাছাই এর কাজে যে সমস্ত দ্বার রক্ষীরা কাজ করে যথা রাজনৈতিক দল ও চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী এর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সংকট সৃষ্টি হয়।
সমালোচনা :—
  •      
  1. ডেভিড ইস্টন এই পদ্ধতির সাহায্যে রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্পর্কে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করেননি। কারণ পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে এখানে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
  2. কি কি কারণে সংকট সৃষ্টি হয় এবং কিভাবে আর্থসামাজিক ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সংকট প্রতিহত করা যায় সে সম্পর্কেও কোন বিশ্লেষণ পাওয়া যায় না।
  3. রাজনৈতিক ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন উপ ব্যবস্থায় বিশেষত শিল্প ব্যবস্থার কার্যাবলী, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়নি।
  4. মার্কসবাদীদের মতে , রাজনৈতিক তত্ত্ব টি কে রক্ষণশীল তথ্যমূলক একটি মার্কিন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক তথা পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে রচনা করেছেন।
উপসংহার –
    • ডেভিড ইস্টনএর ব্যবস্থা জ্ঞাপক তত্তও টিকে নানাভাবে সমালোচনা করা হলেও এই তত্ত্ব টি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ একটি কার্যকরী তত্ত্ব এবং একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা সমাজে কিভাবে টিকে থাকে তারও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা এই তত্ত্ব থেকে পাওয়া যায়। একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিবেশ থেকে কি কি চাপ আসতে পারে এবং তার কিভাবে সমাধান সম্ভব তার ব্যাখ্যা ও পাওয়া যায় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষনেও এই তত্ত্বটি কে প্রয়োগ করা যায়।

             ………………………………………….………………………………..