
Gandhi: Truth Non-Violence and Satyagraha
ভূমিকা : ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে Gandhi একটি উল্লেখযোগ্য নাম। তিনি প্রকৃত অর্থে কোন রাষ্ট্র দার্শনিক ছিলেন না। তবে তিনি নিজের জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু আদর্শ ও নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়েছেন Truth, Non-Violence and Satyagraha যেগুলি পরবর্তীকালে গান্ধীবাদ নামে পরিচিত হয়েছে। গান্ধীজী তার রাজনৈতিক আদর্শ গীতা, বাইবেল, ও আমেরিকান লেখক থোরো ও টলস্টয় প্রভৃতি দার্শনিক এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গড়ে তুলেছিলেন। তার রাজনৈতিক আদর্শ সত্য (Truth), অহিংসা (non violence) ও আত্মনিগ্রহ (self suffering) এই তিনটি নীতির দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
সত্য (Truth) : গান্ধীজীর রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের মৌলিক উপাদান টি ছিল সত্য। তিনি সত্যকে একটি আপেক্ষিক ধারণা হিসেবে গ্রহণ করে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চেয়েছেন। তবে গান্ধীজী চরম সত্য বলতে ঈশ্বরকে বুঝিয়েছেন। পরবর্তীকালে সত্যকেই তিনি ঈশ্বর বলে ঘোষণা করেন।
অহিংসা (non violence) গান্ধীজী শুধুমাত্র অহিংসাকে একটি রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে নয় তার জীবন ধারণের মৌলিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন একমাত্র অহিংসার দাঁড়ায় হিংসাকে জয় করা যায়। অহিংসাই হলো সত্য এবং সত্যই হলো ঈশ্বর। তাই ঈশ্বরকে লাভ করতে হলে অহিংসা কেই গ্রহণ করতে হবে। তবে তিনি অহিংসা বলতে কখনোই এবং কোনভাবেই হিংসাকে স্বীকার করতে রাজি হননি। শুধুমাত্র এই কারণেই তিনি সামান্য চৌরিচৌরার ঘটনায় অহিংস অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেছিলেন।

সত্যাগ্রহের কৌশল : গান্ধীজী সত্যাগ্রহের কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন সত্যাগ্রহের সবসময় দুঃখ বরণ করতে প্রস্তুত থাকবে এছাড়াও চরম ত্যাগ স্বীকার করতে হবে । মৃত্যুবরণ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হবে না। তবে তিনি সত্যাগ্রহের কৌশল হিসেবে অসহযোগ, আইন অমান্য, অনশন , পিকেটিং প্রভৃতিকে গ্রহণ করার পক্ষপাতী ছিলেন।
উপসংহার : গান্ধীজীর সত্যাগ্রহের ধারণা কে সমালোচনা করা হলেও এই ধারণার গুরুত্বকে কখনো অস্বীকার করা যায় না। কারণ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজী এই সত্যাগ্রহের ধারণা কে বারবার প্রয়োগ করেছিলেন এবং সফল হয়েছিলেন। তাই রেজাউল করিম মন্তব্য করেছেন গান্ধীজীর সত্যাগ্রহের আদর্শ হলো একটি পরিপূর্ণ জীবন দর্শন।









