ভারতীয় সংবিধানের উৎস:
ভারতের সংবিধান হল সম্পূর্ণরূপে লিখিত সংবিধান। 1947 সালের 29 আগস্ট ড্রাফটিং কমিটির স্থাপন করা হয় ভারতীয় সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে। এবং 1950 সালের 26 শে নভেম্বর ভারতীয় সংবিধান কে গ্রহণ করা হয়। ফলে এই তারিখটি কে সংবিধান দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের একটি বড় অংশ দেশ-বিদেশের সংবিধান থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতের সংবিধান তৈরি করতে গণপরিষদ কে এগারোটি অধিবেশন ও 2 বছর 11 মাস 18 দিন সময় লেগেছিল। তাছাড়া ভারতীয় সংবিধান প্রণেতা এরা প্রায় 60 টি দেশে ঘুরে সংবিধান তৈরি করেছিলেন। এই সংবিধান তৈরি করতে তৎকালীন 64 লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। ভারতীয় সংবিধানের উৎস গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল ::::::::
- ভারত শাসন আইন 1935 : যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, রাজ্যপাল ও তার কার্যাবলী, বিচার বিভাগ, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত ধারা, ও প্রশাসনিক বিষয়।
- ব্রিটিশ সংবিধান: পার্লামেন্টের শাসন ব্যবস্থা, আইনের অনুশাসন, রাজ্য আইনসভার পদ্ধতি, এক নাগরিকত্ব, ক্যাবিনেট ব্যবস্থা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ।
- যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান( USA) : মৌলিক অধিকার, বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা, বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা (Judicial Review) ইমপিচমেন্ট পদ্ধতি ( রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি )
- আইরিশ সংবিধান: নির্দেশমূলক নীতি, রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য, ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি।
- কানাডার সংবিধান : যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় শক্তিশালী কেন্দ্রিকতা, অন্যান্য ক্ষমতার অধিকারী কেন্দ্র, কেন্দ্রের দ্বারা রাজ্যপাল নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শদান এলাকা।
- অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান : যুগ্ম তালিকা , কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে অবাধ ও স্বাধীন ব্যবসা বাণিজ্য, যৌথ পার্লামেন্ট।
- জার্মানির সংবিধান : জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় মৌলিক অধিকারের সীমিতকরণ।
- সোভিয়েত সংবিধান: মৌলিক কর্তব্য এবং ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ন্যায় (সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক) শব্দগুলির সংযুক্তিকরণ।
- ফ্রান্সের সংবিধান : প্রজাতন্ত্র , স্বাধীনতার , সাম্য ও ভাতৃত্ববোধ শব্দগুলি নেওয়া হয়েছে ভারতের প্রস্তাবনায়।
- দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধান : ভারতীয় সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি, রাজ্যসভার নির্বাচন পদ্ধতি।
- জাপানের সংবিধান : আইনের স্থাপনা পদ্ধতি।